দেবীগঞ্জে পাটের ফলন ভাল, দামে খুশি নন কৃষক
দেবীগঞ্জ(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি ।
আদীকাল থেকে পাটকে সোনালী আশ বলা হয়। কিন্তু এ পাঠ সোনালী আশে পরিনত করতে কৃষককে কষ্ঠ করতে হয় অমানুষিকভাবে। প্রচন্ড রোদ ও গরম উপেক্ষা করে কৃষককুল পাঠ গাছ কেটে জমিতে অথবা জমি থেকে দুরে কোথাও পাট থেকে পাতাগুলো ছড়ানোর জন্য পাট গাছ কাধে বহন করে অন্য স্থানে স্তুপ করে রাখা হয় প্রায় ১০/১২ দিন যাবত।
এরপর স্তুপকৃত পাট গাছ থেকে পাতা আলাদা করে আবারও কাধে করে নিতে হয় দূরের অথবা কাছের কোন বেশি পানির পুকুরে । সেখানে জাক দিয়ে পাট পচানোর জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ১৫ দিন। পাট গাছের আশ নরম হলে কৃষক আশগুলো পাট গাছ থেকে আলাদা করে নিয়ে রৌদ্রে শুকানোর পর পরিনত হয় পাট শোনালী আশ।
এ পর্যন্ত কৃষককে পৌছতে যে পরিমান পরিশ্রম ও অপেক্ষা করতে হয়, সে তুলনায় কৃষক পাচ্ছেন না তার পাটের ন্যায্য মূল্য।
দেবীগঞ্জের হাট-বাজারে নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৬শ টাকা থেকে ১৮শ টাকা মন দরে। এক বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মন পাট পাওয়া যায়। পাটের উৎপাদন ও বাজার দরে সমতা না থাকায় কৃষক পড়ছে লোকশানে। কারন ফসলের উৎপাদন কমেছে জমিতে অপরিমিত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার , একই জমিতে ততোধিক ফসলের চাষ মূলতই জমির উৎপাদনকে করেছে ব্যাহত।
আগে এক বিঘা জমিতে পাট হতো ৯/১০ মন। আবার খরচ হতো কম। আর এখন খরচ হচ্ছে বেশি , উৎপাদন হচ্ছে কম। জমির পাট বপন থেকে শুরু করে বিক্রির উপযোগী করা পর্যন্ত বিঘা প্রতি কৃষকের খরচ হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি। পাটকাঠিগুলোই হচ্ছে কৃষকের লাভ। দেবীগঞ্জ কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবার ১২৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে । কৃষক প্রত্যাশা করছে পাটের মন ২ হাজার টাকা বা তার চেয়েও বেশি ।